ডেইরি, পোল্ট্রি,মৎস্য ও কৃষিবিষয়ক অনলাইন নিউজ ও ভিডিও পোর্টাল

সর্বশেষ :

    মানব দেহে যেভাবে কাজ করে মাছের উপকারী উপাদান

    সেবককন্ঠ ডেস্ক

    মাছ খাওয়ার উপকার বলে শেষ করা যাবে না। মাছ এমন পুষ্টিকর খাবার যা বেশি পরিমাণে খাওয়া যায়। এতে শরীর ও মস্তিষ্কের বৃদ্ধি ঘটে।

    আমাদের খাবারের মধ্যে দুই ধরনের চর্বি আছে। একটি সম্পৃক্ত চর্বি, অন্যটি অসম্পৃক্ত চর্বি। মাছ অসম্পৃক্ত চর্বি ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো উৎস। ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো Docosahxaenoic acid বা DHA। DHA এমন একটি উপাদান যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে সচল ও স্বাভাবিক রাখে।

    মাছের ‍পুষ্টিগুণ ও উপকারী উপাদান নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বারডেমের চিফ নিউট্রিশন অফিসার আখতারুন নাহার আলো।

    শিশুর বুদ্ধির বিকাশ ও স্মৃতিশক্তি ইত্যাদির সঙ্গে ডিএইএ-র নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া এটি চোখের দৃষ্টিশক্তির জন্যও প্রয়োজন। এক গবেষণায় দেখা যায় যে, সব মায়েরা গর্ভাবস্থায় অথবা এর আগে নিয়মিতভাবে মাছ খেয়েছেন, তাদের দুধে DHA-এর মাত্রা বেশি থাকে। আবার যে মায়েরা একেবারেই মাছ খাননি, তাদের দুধে DHA-এর মাত্রা কম থাকে।

    জন্মের পর শিশু মায়ের দুধ থেকে DHA প্রাপ্ত হয়। মাছের তেলে যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে সেটা রক্তের কলস্টেরলকে রক্তনালিতে জমাট বাঁধতে দেয় না। দেখা গেছে মাছের তেল হৃদরোগীদের জন্য খুবই ভালো। এছাড়া প্রদাহজনিত সমস্যা যেমন-চর্মরোগ, ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা, রিউম্যাটিক আর্থ্রাইটিস এ এর ফল চমৎকার। ড্যানিশ বিজ্ঞানীদের এক সমীক্ষায় দেখা যায় যে, গ্রিনল্যান্ডের অধিবাসী যারা নিয়মিত মাছের তেল খায়; তাদের হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কম হয়। ডাচ বৈজ্ঞানিকেরা দেখান যে, যারা প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ২৫ গ্রাম করেও মাছ খান, তাদের তুলনায় যারা একবারেই মাছ খাননা, তারা হৃদরোগে বেশি আক্রান্ত হয়। মাছের তেল ধমনির মধ্যে চর্বির স্তর গঠন রোধ করে।

    হাভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষকরা দেখলেন যে, মাছের তেলে প্রোস্টাগ্লাডিন নামক যে রাসায়নিক পদার্থ আছে, তা ক্যানসার বিস্তার রোধ করে। পাশ্চাত্যের খাবারগুলোতে খুব কম পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে।

    এদিকে পাশ্চাত্যের প্রভাবে আমাদের দেশেও মাছ খাওয়ার প্রবণতা ধীরে ধীরে কমে আসছে। আজ যে কিশোরী, পরবর্তী সময়ে সে সন্তানের মা হবে। অথচ তারাই মাছের পরিবর্তে ব্রয়লার মুরগির প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। ভবিষ্যতে যেসব শিশু জন্মাবে তাদের দেহে DHA-এর ঘটতি দেখা দেবে। ফলে পড়াশোনা ও যাবতীয় কর্মকাণ্ডে তারা পিছিয়ে পড়বে।

    যেহেতু DHA ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড দৃষ্টিশক্তির উন্নতি, ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি, পড়াশোনার ক্ষমতা বাড়া, বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি এবং স্নায়ুতন্ত্র ঠিক রাখাসহ হৃদরোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। সেহেতু প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মাছ অবশ্যই রাখা উচিত।

    Share on facebook
    Facebook
    Share on twitter
    Twitter
    Share on linkedin
    LinkedIn
    Share on whatsapp
    WhatsApp
    Share on email
    Email