ডেইরি, পোল্ট্রি,মৎস্য ও কৃষিবিষয়ক অনলাইন নিউজ ও ভিডিও পোর্টাল

সর্বশেষ :

    খামারী মুরগির প্যারালাইসিস হয়ে থাকে যে সকল কারণে

    আমাদের দেশে পোল্ট্রি খামারে নানা রোগ ব্যাধি বিরাজমান তার মধ্যে প্যারালাইসিস একটি অন্যতম রোগ। যেসব কারণে মুরগির প্যারালাইসিস হয়ে থাকে সেই সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নই। মুরগি পালনে অন্যতম সমস্যা হল মুরগির মারাত্মক রোগের দ্বারা আক্রান্ত হওয়া। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হল মুরগির প্যারালাইসিস। মুরগির প্যারালাইসিস হলে ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়ে। তাই সঠিক কারণ নির্ণয় করে এর প্রতিরোধ করা জরুরী। চলুন জেনে নেই যেসব কারণে মুরগির প্যারালাইসিস হয়ে থাকে সে সম্পর্কে-

    যেসব কারণে মুরগির প্যারালাইসিস হয়ে থাকেঃ
    বিভিন্ন কারণে মুরগির প্যারালাইসিস হয়ে থাকে। মুরগীর প্যারালাইসিসের জন্য বেশ কয়েকটি রোগ এবং অবস্থা দায়ী। সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হল-

    ভাইরাসজনিত রোগেঃভাইরাসজনিত রোগের কারণে প্যারালাইসিস হলে সাধারণত পায়ের গোড়ালি ফুলে যায় এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। নিচের রোগগুলো প্যারালাইসিসের জন্য অনেকাংশ দায়ী।

    ১। রাণীক্ষেত রোগ

    ২। মারেক’স রোগ – সাধারনত দুই পা প্যারালাইসিস হয় এবং দুইদিক ছড়িয়ে থাকে।

    ৩। চিকেন এনিমিয়া ভাইরাস।

    ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগেঃ

    ১। স্ট্যাফাইলোকক্কাস – সাধারনত জয়েন্ট এবং পায়ের তালু ফুলে যায়।

    ২। পাস্টুরেলা

    ৩। মাইকোপ্লাজমোসিস – পা বাঁকা হয়ে যায়। মাথা বাকা হয়ে যায়।

    খামার ব্যবস্থাপনায়ঃ

    ১। খাবার এবং পানির পাত্র নিচু অবস্থায় রাখা।

    ২। মুরগি বসে বসে খাবার এবং পানি খাওয়া।

    ভিটামিনের অভাবঃ

    ১। পেরোসিস – ম্যান্গানিজ অথবা কলিন, নিকোটিক এসিড, পাইরিডক্সিন, বায়োটিনের অভাবে।

    ২। ক্যালসিয়াম ফসফরাসের তুলনামূলক পরিমান সঠিক না থাকা।

    ৩। ভিটামিন – ডি – হাঁড় নরম হয়ে যায় এবং বাকা হয়ে যায়।

    ৪। ভিটামিন বি- ২ – পা বাঁকা হয়ে যায়।

    প্যারালাইসিসের প্রতিকারঃ

    ১। প্যারালাইসিস প্রতিকারে উন্নত ব্রুডিং ব্যবস্থাপনা বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই খামারে প্যারালাইসিস প্রতিকারে সঠিক উপায়ে সকল ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু ব্রুডিং ব্যবস্থাপনা ভাল না হবার কারনে মুরগির খাদ্যনালী যথাযথ বিকাশ লাভ করে না এবং খাদ্যে থাকা ভিটামিন যথাযথ ভাবে মুরগী শোষন করতে পারে না এবং বাহির থেকে ভিটামিন দিতে হয়।

    ২। খাবার পাত্র মুরগির পিঠ বরাবর এবং পানির পাত্র চোখ বরাবর রাখা, এর ফলে মুরগি বসে থেকে খেতে পারেনা এবং বসে থাকার ফলে প্যারালাইসিস হয় না। সরচরাচর এটাই মুরগিতে বেশী হয়।

    প্যারালাইসিসের চিকিৎসাঃ

    ১। প্যারালাইজড মুরগী আলাদা করে রাখতে হবে।

    ২। রেজিস্ট্যার্ড ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে।

    Share on facebook
    Facebook
    Share on twitter
    Twitter
    Share on linkedin
    LinkedIn
    Share on whatsapp
    WhatsApp
    Share on email
    Email