ডেইরি, পোল্ট্রি,মৎস্য ও কৃষিবিষয়ক অনলাইন নিউজ ও ভিডিও পোর্টাল

সর্বশেষ :

    আনসার আলি হাসপাতালের দখল পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে মালিক

    ইয়াছিন আবদুল্লাহ
    শ্যামনগর ,সাতক্ষীরা
    সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের খানপুরে অবস্থিত আনসার আলি হাসপাতাল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে নানা কাহিনি। একের পর এক নাটকের দৃশ্য দেখতেছে সাধারণ মানুষ। হাসপাতালের প্রকৃত মালিক কে এই প্রশ্ন সচেতন মহলের। যদিও নীলাকাশ টুডে এর এই প্রতিবেদকের হাতে একটি পক্ষের স্টাম্পে লিখিত কাগজপত্র এসেছে। সেই স্টাম্প লিখিত কাগজপত্রে আনসার আলি নামের হাসপাতালের স্বত্ব হচ্ছে রাবিয়া খাতুন। অথচ তাকে মালিকানা না দিয়ে ক্ষমতা ও রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে আনসার আলি হাসপাতালের দখল নিয়ে নিয়েছে আলহাজ্ব ড. আনসার আলি এমনই অভিযোগ ভুক্তভোগীর। যদিও স্থানীয় সাংবাদিকের কাছে ড. আনসার আলি এই সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, আমি একজনের কাছে এই হাসপাতালের দ্বায়িত্ব দেয় তিনি এখন মালিক হওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে।
    এই বিষয়ে হাসপাতালের মালিকানা দাবি করা রাবিয়া বলেছেন, ড. আনসার আলি তার বিল্ডিং দশ বছরের জন্যে আমার কাছে ভাড়া দেয়। বিল্ডিং ভাড়ার চুক্তি ৬ মাস পর ওই বিল্ডিং এর দ্বিতীয় তলা নির্মাণের জন্যে আমি আনসার আলিকে জানায়। এসময় তিনি ৫০ শতাংশ শেয়ার মালিকানা শর্তে রাজি হয়। আমিও দেখলাম আমার বিনিয়োগের প্রয়োজন। এই জন্যে তার কাছ থেকে কোন টাকা বিনিয়োগ না নিয়ে তার বিল্ডিং এর দ্বিতীয় তলার কাজ কমপ্লিট করে দেবে এই শর্তে তাকে ৫০ শতাংশ শেয়ার দেওয়া হয়।
    তার নামে হাসপাতাল কেনো এই প্রশ্নের উত্তরে রাবিয়া বলেন, এই হাসপাতালের প্রথমে নাম ছিল ‘এম কেয়ার হাসপাতাল’। কিন্তু ড. আনসার আলির বিশেষ অনুরোধে কখনও কোন সময়ের জন্যে এই প্রতিষ্ঠানের মালিকানা দাবি না করার শর্তে একটি চুক্তি পত্রের ভিত্তিতে নাম করন করা হয়। এক পর্যায়ে ড. আনসার আলি ওই নাম এবং ৫০ শতাংশ শেয়ার মালিকানা চুক্তি পত্রের উপর নির্ভর করে পুরো হাসপাতালের মালিকানা দাবি করেন। তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় এবং ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে সাংবাদিকদের মাধ্যমে নিজের মতো মত প্রকাশ করে প্রকৃত মালিককে আড়াল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগীর। এছাড়া হাসপাতাল ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী রাবিয়া ও তার পরিবারের এবং ভুক্তভোগী রাবিয়া এই ঘটনায় আদালতের দারস্থ হয় বলে জানান। ভুক্তভোগী রাবেয়া তার হাসপাতালের মালিকানা অথবা সুষ্ঠু সমাধান পেতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
    Facebook
    Twitter
    LinkedIn
    WhatsApp
    Email