ডেইরি, পোল্ট্রি,মৎস্য ও কৃষিবিষয়ক অনলাইন নিউজ ও ভিডিও পোর্টাল

সর্বশেষ :

    রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফল খাওয়া কি ঠিক?

    স্বাস্থ্য ভাল রাখতে বিভিন্ন রকমের ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেকেই। ফল বিভিন্ন খনিজ ও ভিটামিনের উৎস। কিন্তু ফল কি যে কোনও সময়ে খাওয়া যায়? বিশেষ করে রাতে শোয়ার আগে ফল খাওয়া ঠিক নয়, এ কথা বলেন অনেকেই।

    রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সত্যিই ফল খাওয়া উচিত কিনা তা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

    ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুষ্টিবিদদের অনেকেই বলছেন, রাতে শুতে যাওয়ার আগে ফল খেলে বেশ কিছু বিড়ম্বনা দেখা দিতে পারে। যেমন-

    ১. ফল খেলে সাধারণত রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই সমস্যা আরও ঝুঁকিপূর্ণ। রাতে শুতে যাওয়ার আগে ফল খেলে ঘুমের মধ্যে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ঘুমের মধ্যে শরীর খারাপ হলে বোঝাও যায় না। ফলে ঘুমানোর ঠিক আগে নির্দিষ্ট কিছু ফল খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভাল।

    ২. রাতের খাবার খাওয়ার সময়ে ফল খেলেও হিতে বিপরীত হতে পারে। খাবারের সঙ্গে ফল খেলে পেট ভরে যায় দ্রুত। ফলে প্রয়োজনীয় শাকসব্জি এবং প্রোটিনের মতো অন্যান্য খাদ্য এড়িয়ে যান অনেকে। বিশেষ করে যারা ওজন ঝরানোর চেষ্টা করছেন, তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের সব সময়েই সুষম খাদ্য প্রয়োজন। তাই ফল খেতে গিয়ে অন্যান্য পরিপূরক খাদ্যগুলি এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়।

    ৩. অনেক সময়ে বিশেষ কিছু ফল শরীরকে দ্রুত উজ্জীবিত করে। ফলে অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন এমন মানুষরা রাতে ফল খেলে সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তা ছাড়া, অনেকেরই ফল খেলে গ্যাসের সমস্যা হয়। দিনের বেলা সেই সমস্যা মোকাবিলা করা গেলেও রাতে পেটে সমস্যা হলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। বিশেষ করে লেবু জাতীয় ফল খেলে অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে এই সমস্যা।

    তবে রাতে ফল খাওয়া নি বিপরীত মতও রয়েছে। অনেকেই বলেন কলা খেলে দেহে পটাশিয়ামের ঘাটতি হয় না। ঘুমের মধ্যে অনেকের পেশিতে টান লাগে। কলা খেলে অনেকটাই কমতে পারে সেই সমস্যা। চেরিও ঘুমের আগে খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেকে। কারণ চেরিতে থাকা মেলাটোনিন ভালো ঘুমে সহায়তা করে। তবে এটা মনে রাখা জরুরি, সবার শরীর সমান নয়। তাই বিশেষ কোনও ধরনের খাদ্যাভ্যাস সবার জন্য উপযোগী নাও হতে পারে। কাজেই, কোন ফল খাবেন, কিংবা রাতে শুতে যাওয়ার আগে খাবেন কি না, তা অবশ্যই জেনে নিতে হবে বিশেষজ্ঞর কাছ থেকে।

     

    Share on facebook
    Facebook
    Share on twitter
    Twitter
    Share on linkedin
    LinkedIn
    Share on whatsapp
    WhatsApp
    Share on email
    Email