
খলিলুর রহমান
হাঁটি হাঁটি পা পা করে ৭ আগস্ট নীরবেই চলে গেল সিভাসু প্রতিষ্ঠা দিবস! ২০০৬ সালে মহান জাতীয় সংসদে আইন পাসের মধ্য দিয়ে ‘চট্টগ্রাম সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ’ পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়। নাম দেওয়া হয়- ‘চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় সংক্ষেপে ‘সিভাসু’। গণমাধ্যমের কল্যাণে সিভাসু আজ একটি ‘ব্র্যান্ড নেইম’।ভেটেরিনারি সাইন্স ও এনিম্যান হাজবেন্ড্রীকে একীভূত করে একটি কম্বাইন্ড ও সময়োপযোগী ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) ডিগ্রি প্রদানের লক্ষ্যে আরও ১০ বছর আগে ১৯৯৫-৯৬ শিক্ষাবর্ষে কলেজ হিসেবে এই প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু। দু’কাল মিলে প্রতিষ্ঠানের আয়ুষ্কাল মোটে ২৭। বয়সে বেশ তরুণ বটে। কিন্তু শিক্ষা ও গবেষণায় প্রসার লাভ করেছে অনেক।ছবিতে যেমন আলোর বিচ্ছুরণ তেমনি গবেষণায়ও ছড়িয়েছে আলোর জ্যেতি। বর্তমানে ভেটেরিনারি, খাদ্যবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং মৎস্য বিজ্ঞান সেক্টরে সারাদেশে নেতৃত্ব দিচ্ছে সিভাসু।এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম ব্যাচের কৃতী শিক্ষার্থী অধ্যাপক ড. এএসএম লুৎফুল আহসান বর্তমানে উপাচার্য পদে আসীন। এটিকে প্রতিষ্ঠানের অন্যতম গৌরবজনক সাফল্য মনে করি। নিশ্চয়ই তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে সিভাসু কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে।
সিভাসু’র প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অধ্যাপক ড. নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ, ২য় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএস মাহফুজুল বারি, একুশে পদকপ্রাপ্ত ৩য় ও ৪র্থ উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ, বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান চট্টল দরদী দি পূর্বকোণ লিঃ এর চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ্ব ইউসুফ চৌধুরী, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তৎকালীন ডিজি মরহুম ডা. নাজির আহমদ, সাবেক সফল মেয়র চট্টলবীর প্রয়াত আলহাজ এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সমাজ সেবক সাহেদুল আলম কাদেরী সহ কলেজ প্রতিষ্ঠা ও বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন এবং এর উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় শরীক সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।
লেখকঃ উপ-পরিচালক, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর, সিভাসু, সাবেক সভাপতিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি।