ডেইরি, পোল্ট্রি,মৎস্য ও কৃষিবিষয়ক অনলাইন নিউজ ও ভিডিও পোর্টাল

সর্বশেষ :

    কাঁঠালের দ্বিগুণ শক্তি লটকনে

    সেবককণ্ঠ

    স্বাদে টক ও মিষ্টি জাতের ফল লটকন। খেতেও বেশ মজার এটি। এ ফলে রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। রয়েছে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি ও রুচি বাড়ানোর উপাদান। এ ফল প্রাচীনকালে ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করা হতো।খাদ্যশক্তির ভালো উৎস লটকন। প্রতি ১০০ গ্রামে ৯২ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি পাওয়া যায়, যা কাঁঠালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। রয়েছে নানা রকম খনিজ উপাদান। এরমধ্যে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ক্রোমিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম উল্লেখযোগ্য। এসব উপাদান শরীরকে সুস্থ রাখে। লটকন ক্যানসার প্রতিরোধক জাতীয় ফল। এটি খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো যায়। আয়রনের স্বল্পতার কারণে এনিমিয়া বা রক্তশূন্যতা তৈরি হয় শরীরে। এ ফলে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই ফলটি খেলে রক্তশূন্যতা দূর হয়।ডিহাইড্রেশন কাটিয়ে উঠতে লটকন ফলে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। চোখের ব্যাধি দূর করতে খুবই কার্যকরী এ ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার উপাদান রয়েছে। যা পরিপাকতন্ত্রের সঠিক কাজ করতে সাহায্য করে। অন্ত্র ও পাকস্থলীর মতো পরিপাক অঙ্গগুলোর কার্যকারিতা উন্নত করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে। যেকোনো চর্মরোগ যেমন চুলকানি, পানু, খোসপাঁচড়া ও দাদ সারাতে সক্ষম।লটকনে কলার মতোই পর্যাপ্ত পটাশিয়াম রয়েছে। যা স্নায়ুর দুর্বলতা কমায়। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে এটি হৃদ রোগের ঝুঁকিও কমায়। প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকায় হাড় সুরক্ষায়ও ভূমিকা রাখে। এছাড়া লটকনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। দিনে দুই-তিনটি খেলে শরীরের ভিটামিন সি’র চাহিদা পূরণ হয়। ভিটামিন ‘সি’ ত্বক, দাঁত ও হাড় সুস্থ রাখে। এমাইনো এসিড ও এনজাইম রয়েছে। যা দেহ গঠন ও কোষকলার সুস্থতায় কাজে লাগে। এসব উপাদান রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

    Share on facebook
    Facebook
    Share on twitter
    Twitter
    Share on linkedin
    LinkedIn
    Share on whatsapp
    WhatsApp
    Share on email
    Email