বাংলাদেশে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জাতের কলার চাষ হয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে অমৃত সাগর, সবরি, কবরি, চাঁপা, মেহেরসাগর, কাবুলি, বিচিকলা ও আনাজি কলা উল্লেখযোগ্য। সম্প্রতি বারিকলা-১, বারিকলা-২, বারিকলা-৩ ও বারিকলা-৪ নামের চারটি উচ্চ ফলনশীল কলার জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। এসব জাতের মধ্যে বারিকলা-১ এরই মধ্যে চাষিদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বারিকলা-১ একটি উচ্চ ফলনশীল জাত, পাকা কলার রঙ উজ্জ্বল হলুদ, খেতে বেশ সুস্বাদু। বারিকলা-২ তরকারি খাওয়ার উপযোগী একটি উচ্চ ফলনশীল জাত। গাছ তুলনামূলকভাবে খাটো আকৃতির। বারিকলা-৩ একটি উচ্চ ফলনশীল জাত। দেখতে অনেকটা বাংলাকলা বা কবরি কলার মতো। বারিকলা-৩ উচ্চ ফলনশীল একটি চাঁপাকলার জাত।
মাটি :পর্যাপ্ত রোদযুক্ত ও পানি নিষ্কাশনের সুবিধাসম্পন্ন উঁচু দো-আঁশ এবং বেলে দো-আঁশ মাটি কলা চাষের জন্য উপযুক্ত।রোপণ সময় :দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময়ে কলার চারা রোপণ করা হয়। আশ্বিন থেকে কার্তিক, মাঘ থেকে ফাল্গুন এবং চৈত্র থেকে বৈশাখ- এ তিন সময়েই কলার চারা রোপণ করা যায়। তবে আশ্বিন-কর্ার্তিক মাসে রোপণ করা কলাগাছে বেশি ফলন পাওয়া যায়।
জমি তৈরি ও গর্ত খনন :কলা চাষের জন্য নির্বাচিত জমি ভালোভাবে ও গভীর করে চাষ করতে হবে। দুই মিটার দূরে দূরে ৬০ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য, ৬০ সেন্টিমিটার প্রস্থ ও ৬০ সেন্টিমিটার গভীর করে গর্ত করতে হবে। চারা রোপণের ১৫ দিন আগেই গর্ত খনন করা উচিত।
চারা রোপণ :চারা রোপণের জন্য অসি তেউড়ই উত্তম। অসি তেউড়ের পাতা সরু, সুচালো অনেকটা তলোয়ারের মতো। গোড়ার দিক মোটা এবং আগার দিক সরু। তিন মাস বয়সের সুস্থ-সবল রোগমুক্ত বাগান থেকে তেউড় সংগ্রহ করতে হবে।
রোগ দমনঃরোগ-বালাইয়ের আক্রমণ থেকে গাছকে রক্ষার জন্য ১০০ লিটার পানিতে ১০০ গ্রাম ব্যাভিস্টিন মিশিয়ে সেই দ্রবণে চারার গোড়ার অংশ আধা ঘণ্টা শোধন করে নেয়া উচিত। রোপণের জন্য সাধারণত ৫০ সেন্টিমিটার লন্বা তেউড় ব্যবহার করা উচিত। রোপণের সময় চারা গোড়ার কাটা অংশটি দক্ষিণ দিকে ফেলতে হবে, যাতে কাঁদিটি উত্তর দিকে বের হয়।
সম্পাদক: অধ্যাপক মুহাম্মদ ইব্রাহীম কুতুবী। প্রকাশক: খালেদ মোঃ আরাফাত আমিন হোসাইনি। সম্পাদকীয় কার্যালয়: রুম নং: ২১৮) আইনজীবী শাপলা ভবন, কোর্ট হিল, চট্টগ্রাম। যোগাযোগ: 01711-468110, 01674-489764।[email protected], [email protected],[email protected]
Copyright © 2025 সেবক কন্ঠ. All rights reserved.