ডেইরি, পোল্ট্রি,মৎস্য ও কৃষিবিষয়ক অনলাইন নিউজ ও ভিডিও পোর্টাল

সর্বশেষ :

    জামের বিচি ওজন কমাতে যেভাবে খাবেন

     

    গ্রীষ্মকালের একটি জনপ্রিয় ফল জাম। অন্যান্য ফলের তুলনায় দেশীয় এই ফলটির স্থায়িত্বকাল বেশ কম। বিশেষজ্ঞদের মতে, জাম পুষ্টিগুণে অনন্য। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও জাম বেশ কার্যকরী। মৌসুমি এ ফলটির বিচিও কিন্তু কোনো অংশে কম নয়। ওজন কমাতে সাহায্য করে জামের বিচচূর্ণ। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে কিছু দিনের মধ্যেই আপনার ওজনে পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন।চাইনিজ আয়ুর্বেদ ওষুধে জামের বিচি হজমের সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করা হতো। এশিয়া প্যাসিফিক জার্নাল অব ট্রপিক্যাল বায়োমেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুযায়ী জামের বিচি শরীরে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে ও ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে খুবই উপকারী।আরও জানা যায়, জামের বিচির উপকারী প্রোফাইল্যাকটিক ক্ষমতা হাইপারগ্লাইসেমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। ফলে রোগীদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় জামের বিচি রাখা দরকার।আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, জাম হলো অ্যাসট্রিনজেন্ট অ্যান্টি-ডিউরেটিক, যা ঘন ঘন মূত্রত্যাগ কমাতে সাহায্য করে, হাইপোগ্লাইসেমিক গুণ আছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ যা ডায়াবেটিসে উপকারী।জামের বিচচূর্ণ করার পদ্ধতি জেনে নিন-

    জাম পরিষ্কার করে একটি পাত্রে রাখুন।

    আঙুল দিয়ে ফল থেকে বিচি ছাড়িয়ে নিয়ে অন্য একটি শিশিতে রেখে দিন।

    বিচিগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন যাতে গায়ে শাঁস না লেগে থাকে।

    পরিষ্কার কাপড়ে বিচিগুলো ছড়িয়ে রোদে তিন চার দিন শুকাতে দিন।

    শুকিয়ে গেলে বাইরের খোসা ছাড়িয়ে ভেতরের সবুজ অংশ বের করুন।

    সবুজ অংশটি সহজেই আঙুলের চাপে ভাঙতে পারবেন। সবগুলো ভেঙে আরও কিছুদিন রোদে শুকাতে দিন।

    এবার শুকনো বিচিগুলো ভালো করে গুঁড়া করে নিন।

    ভালো করে গুঁড়া করার পর চালুনিতে চেলে নিন।

    তারপর জামের বিচির গুঁড়া একটি বায়ু-নিরোধক শিশিতে রেখে দিন এবং প্রয়োজন মতো ব্যবহার করুন।

    Facebook
    Twitter
    LinkedIn
    WhatsApp
    Email