
মুহাম্মদ ইব্রাহীম কুতুবী
প্রতি বছর কোরবানির ঈদে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাহারি নামের বড় বড় গরু লালন পালন করা হয়। তেমনি এবছর ‘ফরিদপুরের ডন’ নামে একটি গরু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গরুটি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রুবায়েত হোসেন লালন পালন করছেন। এবছর তিনি গরুটিকে হাটে উঠাবেন। ১৬০০ কেজি ওজনের গরুটির দাম হাঁকাচ্ছেন ২৫ লাখ। ক্রেতা পেলে বিক্রি করে দিবেন।জানা যায়, খামারি রুবায়েত হোসেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের হরেরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এই ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটিকে গত ২ বছর আগে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলেন। দীর্ঘ ২ বছর যাবত একে লালন পালন করছেন। এতোদিন ঘরের ভেরতেরই বড় করেছেন। গেল সপ্তাহে ঘর ভেঙে গরুটিকে বাইরে বের করেন। তাতেই অনেক মানুষ ভীড় করেন। অনেকে আবার গরুটির ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।খামারি রুবায়েত হোসেন বলেন, বর্তমানে ডনের ওজন ১৬০০ কেজি। গত ২ বছর যাবত গরুটিকে লালন পালন করছি। গত সপ্তাহে গরুটিকে ঘরের বাইরে নিয়ে আসার পর অনেক মানুষ ভীড় করেন। অনেকে ডনের ছবি তুলে বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। স্থানীয় অনেকের দাবী এটিই ফরিদপুরের সবচেয়ে বড় গরু।তিনি আরো বলেন, ডনের প্রিয় খাবার ঘাস, ছোলা, ভুসি। এছাড়াও প্রতিদিন কমলা, মাল্টা, আঙুর ও কলা খাওয়ানো হচ্ছে ডনকে। ডনকে লালন পালনে আমি কখনো ইনজেকশন বা মোটাতাজাকরণ ঔষধ খাওয়াইনি। সম্পূর্ণ প্রকৃতিক খাবার খাইয়েই একে লালন পালন করেছি। বর্তমানে ডনের উচ্চতা ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং লম্বায় ১২ ফিটের বেশি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় অনেক দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ দেখতে আসছেন।রুবায়েত আরো বলেন, অনেকে বাড়িতে এসে দামাদামি করছেন। আমি ২৫ লাখ টাকা হলে বিক্রি করবো। তবে হাটে উঠানোর ইচ্ছা আছে।সালথা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নাহিদুল ইসলাম বলেন, ষাঁড়টিকে লালন পালনে তিনি অনেক পরিশ্রম করেছেন। আমরাও তাকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছি। আশা করছি ন্যায্য মূলেই বিক্রি হবে।