ডেইরি, পোল্ট্রি,মৎস্য ও কৃষিবিষয়ক অনলাইন নিউজ ও ভিডিও পোর্টাল

সর্বশেষ :

    রাজনীতির ‘রহস্যময় দিকপাল’ সিরাজুল আলম খান (দাদা ভাই) আর নেই, জানাজা শনিবার ।

     

     

    মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ,বাংলাদেশের রাজনীতির ‘রহস্যময় দিকপাল ’ ”রহস্য পুরুষ”  হিসেবে পরিচিত সিরাজুল আলম খান (দাদা ভাই) আর নেই। সকাল ১০টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে তার প্রথম জানাজা  অনুষ্ঠিত হবে । সেখান থেকে মরদেহ নেওয়া হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজার পর সিরাজুল আলম খানের মরদেহ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলীপুর গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হবে। সেখানে তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। সিরাজুল আলম খানের ব্যক্তিগত সহকারী মো. রাসেল এ কথা জানিয়েছেন। তিনি জানানশুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সিরাজুল আলম খান। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি।উল্লেখ্য যে, গত ২০ মে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের ভিভিআইপি কেবিনে তাকে ভর্তি করা হয়। এর আগে তিনি শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তার অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাওয়ায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। পরে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হলে আজ(শুক্রবার) তিনি মারা যান।

    ১৯৪১ সালের ৬ জানুয়ারি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলীপুর গ্রামে৮২ বছর বয়সী এই রাজনীতিক সিরাজুল আলম খানের জন্ম। তাঁর বাবা খোরশেদ আলম খান ছিলেন স্কুল পরিদর্শক। মা সৈয়দা জাকিয়া খাতুন, গৃহিণী। ছয় ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।

    যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে ফেরার পর থেকে চিরকুমার সিরাজুল আলম খান রাজধানীর কলাবাগানে তার ভাইদের সঙ্গেই থাকতেন। তিনি কখনও জনসম্মুখে আসতেন না। এমনকি কোনো বক্তৃতা-বিবৃতিও দিতেন না। আড়ালে থেকে তৎপরতা চালাতেন বলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘রহস্য পুরুষ’ হিসেবে পরিচিতি পান তিনি।

    ষাটের দশকের প্রথমার্ধে সিরাজুল আলম খানসহ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার উদ্যোগে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ বা স্বাধীনতার নিউক্লিয়াস গঠিত হয়। এ সংগঠনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সাল ছাত্রলীগ ভেঙে দুই ভাগ হয়। এ সময় সিরাজুল আলম খানের নেপথ্য নেতৃত্বে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রতিষ্ঠা হয়। কখনও নেতৃত্বে না এলেও জাসদ নেতাদের ‘তাত্ত্বিক গুরু’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। তাকে সবাই ‘দাদা ভাই’ নামে ডাকতেন। রাজনৈতিক কারণে ১৯৬৩, ১৯৭৬ ও ১৯৯২ সালে তিনি কারারুদ্ধ হন।

     

     

     

     

     

     

     

     

    Share on facebook
    Facebook
    Share on twitter
    Twitter
    Share on linkedin
    LinkedIn
    Share on whatsapp
    WhatsApp
    Share on email
    Email