ডা. মো. শাহীন মিয়া
গরুর পানি পানের ব্যবস্থাপনা ভালো না হলে খামার থেকে উৎপাদন কমে যাবে। আপনি বুঝতেই পারবেন না যে ভুলটা কোথায় হচ্ছে। গরু কিনলেন হাটের সেরা গরু, খাওয়ালেন ভালো ভালো খাবার কিন্তু গরু খেতে চায়না, অসুখ বিসুখ যায়না। গরুকে যদি সবসময় রোগ জীবানুমুক্ত পানি ও টাটকা পানি পান করানো যায় তাহলে সমস্ত টিকা বা ভ্যাকসিনের অর্ধেক কাজ হয়ে গেল।
১. গরুর সামনে সবসময় পানি রাখুন
২. প্রতি ৩ ঘন্টা অন্তর পানি পরিবর্তন করতে হবে।
৩.গরম কালে হালকা ঠান্ডা ও শীত কালে হালকা গরম পানি খেতে দিন।
৪.পানি ফিল্টার করতে পারলে খুব ভালো হয়।
৫.ফিল্টার না থাকলে নলকুপের পানি পরিক্ষা করে উপযোগী কিনা তা জানতে হবে।
৬.গরুর খাবারের পানি যাতে কোন ভাবে দুষিত হতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৭.প্র য়োজনে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ব্যবহার করা যেতে পারে।
৮. থাম্বের নিয়ম হিসাবে, শীতের আবহাওয়ার সময় একটি গরুর শরীরের ওজন প্রতি ১০০ পাউন্ডে ১ গ্যালন পানীয় জলের প্রয়োজন এবং গরম আবহাওয়ার সময় সেটা প্রায় ২ গ্যালন!
৯. ড্রাই গরুর তুলনায় ল্যাক্টেটিং গরুদের প্রায় দ্বিগুণ পানি/জল প্রয়োজন। গরুর জন্য পানীয় জল হতে হবে সুপেয় এবং আবর্জনা মুক্ত! প্রসঙ্গত, ১ গ্যালন= ৩.৭৮ লিটার আর ১ পাউন্ড= ০.৪৫ কেজি।
পরিশেষে বলতে চাই। গরু থেকে সর্বোচ্চ উৎপাদন পেতে গরুকে বিশুদ্ধ ও টাটকা পানি পান করানোর কোন বিকল্প নেই।
লেখক : উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা
সম্পাদক: অধ্যাপক মুহাম্মদ ইব্রাহীম কুতুবী। প্রকাশক: খালেদ মোঃ আরাফাত আমিন হোসাইনি। সম্পাদকীয় কার্যালয়: রুম নং: ২১৮) আইনজীবী শাপলা ভবন, কোর্ট হিল, চট্টগ্রাম। যোগাযোগ: 01711-468110, 01674-489764।[email protected], [email protected],[email protected]
Copyright © 2025 সেবক কন্ঠ. All rights reserved.