ডেইরি, পোল্ট্রি,মৎস্য ও কৃষিবিষয়ক অনলাইন নিউজ ও ভিডিও পোর্টাল

সর্বশেষ :

    বসন্ত রোগে মুরগি খামারিদের করনীয়

    সেবককণ্ঠ রিপোর্ট
    গবাদিপশু পাখিও মুরগির নানা রোগব্যাধি পাশাপাশি বসন্ত রোগ ও একটি জটিল ব্যাধি। এ সর্ম্পকে করণীয় কি তা আমরা অনেকেই জানি না। আমাদের দেশে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই মুরগি পালন করা হয়ে থাকে। আবার খামারে বাণিজ্যিকভাবে অনেকেই মুরগি পালন করে থাকেন।
    খামারিদের মুরগি পালনে অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হল মুরগির বিভিন্ন প্রকার রোগ। মুরগির জটিল রোগগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মুরগির বসন্ত রোগ। আসুন জেনে নেই মুরগির বসন্ত রোগে করণীয় সম্পর্কে-
    মুরগির বসন্ত রোগের কারণঃ
    এক সাথে বিভিন্ন বয়সের মুরগী রাখলে এই রোগটি হতে পারে। খামারের মেঝে ভেজা বা চার পাশে পানি থাকলে।খামারে অতিরিক্ত মশা থাকলে মশার কামড়ে হতে পারে।আক্রান্ত মুরগির নিশ্বাসের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়াতে পারে। মুরগী ঠুকরা ঠুকরি করে খত সৃষ্টি করলেও হতে পারে।

    মুরগির বসন্ত রোগের লক্ষণঃ
    আক্রান্ত মুরগির বাচ্চা ঝিমাবে। অন্য মুরগির বাচ্চা গুলি থেকে আলাদা হয়ে কোনায় বসে থাকবে।মুরগির নাকের চারপাশে এবং ঠোঁটের রং পরিবর্তন হবে।বাচ্চা বার বার নাক বা চোখের কাছে পা দিয়ে চুলকাবে।মুরগির শরীরে জ্বর থাকবে যার ফলে বাচ্চা ঠিক মত খাবে না।মুরগির ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে এক সময় মারা যাবে।

    মুরগির বসন্ত রোগে করনীয়ঃ
    মুরগির এই রোগ গ্রীস্মে এবং শীতে বেশি হয়ে থাকে তাই গরমে পর্যাপ্ত পরিমান আলো বাতাসের ব্যাবস্থা করতে হবে এবং শীতে তাপের ব্যাবস্থা করতে হবে।বসন্তের টিকা সময় (৩৫ দিন বয়সে) মত দিতে হবে।স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। আক্রান্ত বাচ্চাটিকে আলাদা করতে হবে।
    মুরগির বসন্ত রোগের চিকিৎসাঃ
    এই রোগে মুরগির জ্বর শরীরে লেগেই থাকে তাই কোন এন্টিবায়টিক অথবা ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি খাওয়াতে হবে।
    যদি কম সংখ্যক বাচ্চা আক্রান্ত হয় তাহলে পটাশ বা জীবাণু নাশক তুলার সাথে লাগিয়ে আক্রান্ত স্থানে মুছে দিতে হবে দিনে দুই তিন বার করে। এর সাথে ফাইমক্সিল বা এমোক্সিসিলিন সিরাপ ৫ থেকে ৬ দিন পর্যন্ত দিনে দুই তিন বার করে খাওয়াতে হবে।

    Share on facebook
    Facebook
    Share on twitter
    Twitter
    Share on linkedin
    LinkedIn
    Share on whatsapp
    WhatsApp
    Share on email
    Email