

ইফতি ইসলাম তানজিল
আগামী শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সারাদেশে একযোগে কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ক ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্বিবদ্যালয় (সিভাসু) কেন্দ্রে ২ হাজার পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
জানা যায় , এ ভর্তি পরীক্ষার উপকমিটি গঠন, সম্মানী বণ্টন ও পরীক্ষায় ডিউটি বণ্টনকে কেন্দ্র করে সিভাসুর রেজিস্টারের আচরনকে কেন্দ্র করে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
প্রতিবছরের মতো ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের জন্য এ বছরও কিছু উপকমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু রেজিস্ট্রার মীর্জা ফারুক ইমামের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে এবং সব কমিটিতে নিজের নাম দিয়ে বেশি সম্মানী নেওয়ার পাঁয়তারার ফলে অসন্তোষ দেখা দেয়।
শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আপত্তির মুখে উপকমিটিগুলো পাঁচবারের বেশি সংশোধন করা হয়েছে। এ নিয়ে ভর্তি কমিটির একাধিক সভায় রেজিস্ট্রারকে ভর্ৎসনা করা হয় এবং একাধিক কমিটি থেকে তার নাম প্রত্যাহার করা হয়। এতকিছুর পরও
সর্বশেষ ভর্তি পরীক্ষার হলে ডিউটি বণ্টনকে কেন্দ্র করে আবারও রেজিস্ট্রারের স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে ফিশারিজ অনুষদের সহকারী অধ্যাপক আবরার শাকিলসহ কয়েকজন শিক্ষক কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ জানালে সস্প্রতি তা সংশোধন করা হয়।এতে শিক্ষকদের একটি পক্ষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক এ প্রতিবেদক জানান , কয়েক বছর ধরে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে এসব নোংরা খেলা শুরু হয়েছে রেজিস্ট্রারের কারণে। কমিটি গঠনের সময় তিনি নিজের নাম সব কমিটিতে ঢুকিয়ে দেন, কারণ যত কমিটি তত সম্মানী। এ ছাড়া তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ডিউটি লিস্ট করে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের মুখোমুখি করে দেন। এটা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। । সিভাসুর রেজিস্ট্রার মীর্জা ফারুক ইমাম অভিযোগ প্রসঙ্গে এ প্রতিবেদককে জানান , ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক ভর্তি সংক্রান্ত নিয়ম-নীতি অনুসারে সম্পন্ন হয়েছে। এতেকারো কোনো ধরনের অভিযোগ কিংবা অসন্তোষ হওয়ার কথা নয়। এ বিষয়ে আপনি ভিসি স্যারের সাথে কথা বলতে পারেন।
সিভাসুর উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ এ প্রতিবেদককে জানান, ভর্তি পরীক্ষা আসলে এরকম কিছু অসন্তুষ্টির কথা আসে। একটা কাজ করতে গেলে কিছু নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হতে পারে। । এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সুন্দর একটা মানসিকতা। আমি চাই সবাই যাতে এ কাজে সম্পৃক্ত হয়ে ভুল না বুঝে ভর্তি পরীক্ষা সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা। তবে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ইতিমধ্যে সমধান ও হয়েছে।