ডেইরি, পোল্ট্রি,মৎস্য ও কৃষিবিষয়ক অনলাইন নিউজ ও ভিডিও পোর্টাল

সর্বশেষ :

    সামাজিকমাধ্যমে ধর্ষণের হুমকি দেয়ার শাস্তি কী

    অ্যাডভোকেট আবুল হাসান

    সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে এ সংক্রান্ত আইনটির একটি সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এটি কার্যকর করা হবে।

    বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় ও অনলাইনে নারীদের ধর্ষণের হুমকি দেয়া, আক্রমণাত্মক বা অপমানজনক মন্তব্য করা, কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব দেয়া ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে।

    বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যা ঘটে তা হলো– নারীরা লজ্জা ও সম্মানের ভয়ে মুখ খুলতে ভয় পায়। অনলাইনে ধর্ষণের হুমকি ও হয়রানির শিকার হলে সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ ফৌজদারি দণ্ডবিধি অনুযায়ীও অভিযোগ করার বা আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যাবে।

    এখন কথা হচ্ছে– কোনো নারী যদি এ ধরনের সমস্যার শিকার হন তবে তিনি কী করবেন। আর কী ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব?

    অনলাইনে এ ধরনের হয়রানিমূলক আচরণের শিকার হলে তথ্যপ্রমাণসহ সাইবার ক্রাইম ইউনিটে যোগাযোগ করতে পারেন। বাংলাদেশের আইনে কাউকে কোনো হুমকি দেয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সুস্পষ্টভাবে হয়েছে, যদি ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে ইচ্ছাকৃত বা অজ্ঞাতসারে অন্য ব্যক্তির জন্য আক্রমণাত্মক বা ভীতি প্রদর্শক কোনো তথ্য প্রকাশ করেন, অথবা এমন কোনো তথ্য প্রকাশ করেন, যা অন্য ব্যক্তিকে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ করতে পারে এবং মিথ্যা জানা সত্ত্বেও অন্যদের অপমান, অপদস্থ, বিরক্ত বা হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে কোনো মন্তব্য করা হলে তার কারাদণ্ড ও জরিমানা করার বিধান রয়েছে।

    এ ধরনের অপরাধের শাস্তি

    আইন অনুযায়ী এ রকম ক্ষেত্রে তিন বছরের কারাদণ্ড ও তিন লাখ টাকা জরিমানার শাস্তির বিধান রয়েছে। এ ছাড়া এ ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে, অর্থাৎ অনলাইনে এ ধরনের কন্টেন্ট ছড়িয়ে দিতে থাকলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় শাস্তির বিধান রয়েছে।

    কী করবেন

    ধর্ষণের হুমকি বা আপত্তিকর মন্তব্যের শিকার হলে নিকটস্থ থানায় সরাসরি অভিযোগ করতে পারবেন। এ ছাড়া সাইবার ইউনিটে মেইল করে এবং কাউন্টার টেররিজম বিভাগের ‘হ্যালো সিটি’ অ্যাপের মাধ্যমেও অভিযোগ করতে পারবেন।

    ই-মেইল ও অ্যাপে অভিযোগ করার ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী নিজের পরিচয় গোপন রেখেও অভিযোগ করতে পারেন। অভিযোগের পক্ষে কিছু তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করে রাখা ভালো।

    লেখক: অ্যাডভোকেট আবুল হাসান, সুপ্রিমকোর্ট অব বাংলাদেশ।

    Share on facebook
    Facebook
    Share on twitter
    Twitter
    Share on linkedin
    LinkedIn
    Share on whatsapp
    WhatsApp
    Share on email
    Email