আমাদের শরীরের ওজন বহন করে দুই পা। মূলত গোড়ালিকেই নিতে হয় পুরো চাপটা। তাই বয়সের সঙ্গে সঙ্গে গোড়ালি ব্যথার সমস্যায় ভোগেন বেশিরভাগ মানুষ। নানা কারণে এ ব্যথা হতে পারে। সমাধানের আগে জানতে হবে ব্যথাটা কেন হচ্ছে।
ব্যথার কারণ
আঘাতের কারণে পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হতে পারে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পায়ের মাংসপেশিগুলোর ইলাস্টিসিটি কমতে থাকে। এ কারণে পা ফুলে যাওয়া, হাঁটতে ব্যথা অনুভব, ঝিনঝিন করা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। পায়ের পাতা ও গোড়ালিতে ব্যথা হওয়ার পেছনে আরও দায়ী ডায়াবেটিস, পেশাগত কারণে একটানা দাঁড়িয়ে বা হাঁটার কাজ করা, দীর্ঘদিন উঁচু হিল জুতা পরা, ওবেসিটি বা বাড়তি ওজন ইত্যাদি।
কী করবেন?
দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকলে বা হাঁটার পর পায়ে চাপ দিলে বা দাঁড়ালেই গোড়ালিতে ব্যথা অনুভব হয়। ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সের মানুষ, বিশেষ করে নারীরা গোড়ালি ব্যথার সমস্যায় বেশি ভোগেন। এমন হলে পায়ের ওপর চাপ কমাতে হবে।
শুয়ে পায়ের পাতা এদিক-ওদিক কয়েকবার নাড়ানোর ব্যায়াম করলে উপকার পাবেন। এ ছাড়া পায়ের ওপর চাপ পড়ে না এমন ব্যায়াম, যেমন- সাঁতার কাটা যেতে পারে।
দীর্ঘদিন টানা খেলাধুলা বা দৌড়াদৌড়ির কারণে পায়ের একিলিস টেনডনের প্রদাহ হতে পারে। ফুটবলার ও টেনিস খেলোয়াড়দের সাধারণ সমস্যা এটি।
গোড়ালি ফুলে যাওয়া, আক্রান্ত স্থান গরম বোধ হওয়া, হাঁটাচলা করতে অসুবিধা প্রধান লক্ষণ। এ ক্ষেত্রে বিশ্রাম ছাড়া অন্য সমাধান নেই। পা উঁচু টুলের ওপর রাখার চেষ্টা করতে হবে। পায়ের ব্যথাযুক্ত জায়গায় ২০ মিনিট বরফ সেঁক দিন দিনে দুই থেকে তিনবার। পায়ের ফ্র্যাকচার থেকেও ব্যথা হতে পারে। ফ্র্যাকচার হলে অসহনীয় তীব্র ব্যথা হয়। বসে বা শুয়ে থাকলে ব্যথা কমে, কিন্তু দাঁড়ালেই ব্যথা রাড়তে থাকে। ফ্র্যাকচার হলে পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে। তারপরও ব্যথা না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ রিয়ে পায়ে ব্যান্ডেজ করতে হবে।