ডেইরি, পোল্ট্রি,মৎস্য ও কৃষিবিষয়ক অনলাইন নিউজ ও ভিডিও পোর্টাল

সর্বশেষ :

    তুলসী পাতাঃ পোল্ট্রি খামারে মহাঔষধি

    তুলসী পাতা পোল্ট্রি খামারে মহাঔষধি সেটা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। পোল্ট্রি খামারে অনেক সময় বিভিন্ন রোগ দেখা যায়। যার ফলে খামারিরা লোকসান করে থাকেন। এক্ষেত্রে ভেষজ ওষুধ হিসেবে তুলসী পাতা কাজে আসতে পারে। আসুন জেনে নেই পোল্ট্রি খামারে রোগ নিরাময়ে তুলসী পাতার ব্যবহার সম্পর্কে-

    পোল্ট্রি খামারে রোগ নিরাময়ে তুলসী পাতার ব্যবহারঃ

    ১। খামারে অতিরিক্ত মশার উৎপাত থেকে রক্ষা পেতে তুলসীর রস পানিতে মিশিয়ে নিয়মিত স্প্রে করতে পারলে,,জীবাণুর পাশাপাশি মশাও পালাবে।

    ২। তুলসীতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাংগাল উপাদান রয়েছে। এগুলো রক্ত পরিশুদ্ধ করে।

    ৩। পানিতে তুলসী পাতার সঙ্গে এলাচ গোল মরিচ ফুটিয়ে সেই পানি পোল্ট্রিকে খাওয়ালে নিমিষেই জ্বর চলে যায়।

    ৪। যেকোনো ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে তুলসীর পাতা অনন্য। এতে রয়েছে জীবাণুনাশক ও সংক্রমণ শক্তিনাশক উপাদান।

    ৫। পোল্ট্রির ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং ঠাণ্ডা-সর্দিতে তুলসী পাতার সঙ্গে মধু ও আদার মিশ্রণ দারুণ কাজ করে।

    ৬। তুলসীর পাতায় তৈরি হালকা গরম পানি পাকস্থলী পরিস্কার রাখে।

    ৭। দেহ থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করে তুলসী।

    ৮। তুলসীকে নার্ভের টনিক বলা হয় । তুলসী পাতা পাকস্থলীর ও কিডনীর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

    ৯। তুলসী পাতা হলো প্রোফাইল্যাক্টিভ যা, পোকামাকড় কামড় দিলে উপসম করতে সক্ষম। পোকার কামড়ে আক্রান্ত স্থানে তুলসী পাতার তাজা রস লাগিয়ে রাখলে কামড়ের ব্যথা ও জ্বলা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যায়।

    ১০। তুলসী এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।ছত্রাক ও জিবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে।

    ১১। পোল্ট্রির চোখ ফোলা ও পানি পড়া কমাতে ,তুলসী পাতার রসের সাথে খাঁটি মধু মিশিয়ে লাগিয়ে মুছে দিলে ভালো কাজ করে।

    ১২। পোল্ট্রির শরীরের কোনো অংশ কেটে গেলে কিংবা যেকোন আঘাতে ক্ষত হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তুলসি পাতার রস দিয়ে লেপে দিলে সাথে সাথে জ্বালা যন্ত্রণা কমে।

    ১৩। তুলসীর অ্যালকোহলিক নির্যাস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

    ১৪। অনেক সময় পোল্ট্রির কোন কারণ ছাড়াই বা ময়লা কিছু খেয়ে ফেললে পেটে সমস্যা হয়ে থাকে ,এক্ষেত্রে দুবেলা দু ফোটা তুলসীর রস খাইয়ে দিলে ম্যাজিকের মত কাজ করবে।

    নিয়মিত তুলসীর ব্যবহারের ফলে খামারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ব্যাপক উপকার পাওয়া সম্ভব। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল খামারে ওষুধ খরচ কম যায়।

    Share on facebook
    Facebook
    Share on twitter
    Twitter
    Share on linkedin
    LinkedIn
    Share on whatsapp
    WhatsApp
    Share on email
    Email