
আগেকার দিনে হালচাষের জন্য গ্রামে গঞ্জে গবাদিপশু পালন করত তারই সাথে পরিবারের পুষ্টি চাহিদা মেঠাতে সনাতনী পদ্ধতিতে দুধ আহরণ করা হতো। কালের পরির্বতনে আজকাল গবাদিপশু দিয়ে লাভবান হওয়ার আশায় অনেকে বানিজ্যিক ভাবে খামার গড়ে তুলেছেন। গবাদিপশু তথা গরু পালনে লাভবান হওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে দুধ উৎপাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরুর দুধ উৎপাদনে যা জানা জরুরী তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই।
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরুর দুধ উৎপাদন করবেন যেভাবে:
১. যথাসম্ভব কম লোক দিয়ে খামারের সকল গরুর দুধ দোহন করতে হবে। খামারের প্রবেশদ্বারে জীবানু নাশক সহ ফুটবাথ রাখতে হবে।
২. দুধ দোহনের পরে গাভীকে খাবার দিতে হবে, ফলে ওলান ফুলা রোগ বা ম্যাসটাইটিস হবার সম্ভবনা থাকবে না।
৩. ম্যাসটাইটিস প্রতিরোধে নিয়মিত সিএমটি পরীক্ষা করা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। চিকিৎসা ও কৃত্রিম প্রজনন গুরুত্ব দেয়ার সাথে সাথে খামার ব্যবস্থাপনায় অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।
৪. বছরে ২-৩ বার সঠিক পরিমানে কৃমি নাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে। রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত সঠিক মাত্রায় টিকা প্রদান করতে হবে।
৫. গরুকে পুষ্টি জাতীয় খাবার ঘাস ,খৈল ,ভিটামিন জাতীয় কাচা ঘাস খাওয়াতে হবে তা রুটিন মাফিক করতে হবে
৬. গরু ও তার খামার কে নিয়মিত পরিচর্যা করতে হবে ,দু একদিন পরপর গরু তথা গাভীকে গোসল করিয়ে দিলে ভাল হয়
৭.খামার কিংবা গোয়ালে সাপ-ইদুঁরের পদুর্ভাব রোধ করতে হবে