ডেইরি, পোল্ট্রি,মৎস্য ও কৃষিবিষয়ক অনলাইন নিউজ ও ভিডিও পোর্টাল

সর্বশেষ :

    দুই দশকে প্রথমবারে মতো চীনে জনসংখ্যা হ্রাস

    চীনে প্রকাশিত জনসংখ্যার নতুন পরিসংখ্যানে বেইজিংয়ের জনসংখ্যা দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো হ্রাস পেয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। জীবনযাত্রা এবং শিক্ষার উচ্চ খরচের পাশাপাশি এক সন্তান নীতির কারণে রাজধানীতে ২০২২ সালে জন্মের চেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে।

    ২০২২ সালে ২ কোটি ১০ লাখেরও বেশি লোকের বাসস্থান রাজধানী বেইজিংয়ে জন্মের চেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে, যার ফলে প্রাকৃতিক জনসংখ্যা প্রতি ১ হাজার জনে মাইনাস ০.০৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৩ সালের পর এই প্রথম জনসংখ্যা পিছিয়ে গেল। -খবর দ্য গার্ডিয়ান।

    বেইজিং কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এই শহরের মৃত্যুর হার প্রতি ১ হাজার জনে ৫.৭২ জন, যেখানে জন্মহার প্রতি ১ হাজার জনে ৫.৬৭ জনে নেমে এসেছে। জনসংখ্যাবিদরা বলেছেন যে নেতিবাচক অবস্থানটি জাতীয় প্রবণতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যা চীনের পতনশীল জন্মহারের ওপর ভিত্তি করে অর্থনৈতিক ও সামাজিক কারণগুলি প্রদর্শন করে।

    অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির সেন্টার অব পলিসি স্টাডিজের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো শিউজিয়ান পেং বলেছেন, বেইজিংয়ে উচ্চ জীবনযাত্রা এবং শিক্ষার খরচ এবং শিক্ষার স্তরের পরিপ্রেক্ষিতে স্থায়ী বাসিন্দাদের জন্মহার কম খুব হওয়াই স্বাভাবিক। তবে চীনের বর্তমান কমিউনিস্ট পার্টির সরকার এই প্রবণতাকে পাল্টে দিতে এবং বয়স্ক জনসংখ্যার অর্থনৈতিক প্রভাবগুলো বন্ধ করার চেষ্টা করছে।

    গত বছরের সরকারি তথ্যে দেখা যায়, চীনের জন্মহার প্রতি ১ হাজার জনে ৬.৭৭ জনে নেমে এসেছে, যা সর্বনিম্ন রেকর্ড। বেইজিংয়ের জনসংখ্যার পরিসংখ্যান শহরের স্থায়ী বাসিন্দাদের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে এবং এতে বিপুল সংখ্যক অভিবাসী শ্রমিক অন্তর্ভুক্ত হয়নি যারা তাদের নিজ প্রদেশ থেকে অর্থনৈতিক সুযোগের সন্ধানে এখানে এসেছে।

    কয়েক দশক ধরে চীনে কঠোরভাবে এক-সন্তান নীতি প্রয়োগ করা হয়; যদিও ২০১৬ সালে তা প্রত্যাহার করা হয়। কর্তৃপক্ষ এখন দম্পতিদের একাধিক সন্তান নিতে উত্সাহিত করছে কিন্তু জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়, ঐতিহ্যগত চাপসহ নানা কারণে তারা তা অপছন্দ করছে। আইনি পরিবর্তন, সামাজিক সংস্কার-মাতৃস্বাস্থ্যসেবা এবং জন্ম নিবন্ধনের ওপর লাল ফিতার হ্রাস, আর্থিক প্রণোদনা ও গর্ভপাতের নিরুত্সাহিতকরণও-এই প্রবণতাটিকে পাল্টাতে খুব কমই উত্সাহিত করেছে।

    গ্রামীণ পরিবার থেকে শহরে আসা ৪২ বছর বয়সী বেইজিংয়ের এক বাসিন্দার মতে, বিয়ে করা এবং একটি স্থিতিশীল জীবনযাপন করার জন্য সন্তান ধারণ করা খুবই কঠিন কাজ। তিনি বলেন, আমি বেইজিংয়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম এবং কাজের জন্য থেকে গিয়েছিলাম।

    গত কয়েক বছরে, অর্থনৈতিক পরিবেশ ভাল ছিল না, আমার বয়স বাড়ছে। আমাকে কয়েকবার ছাঁটাই করা হয়েছিল। আমি চাকরি খুঁজে পাওয়ার আগে তিন মাস বেকার ছিলাম এবং আমার বেতন ছিল আগের তুলনায় অর্ধেক। এমতাবস্থায় বেইজিংয়ে বসবাস করা প্রায় অসম্ভব।

    Share on facebook
    Facebook
    Share on twitter
    Twitter
    Share on linkedin
    LinkedIn
    Share on whatsapp
    WhatsApp
    Share on email
    Email